মানুষের জীবনে সবথেকে সেরা ও কার্যকর মোটিভেশনের বাণী

একটা জিনিস চিন্তা করে দেখলাম মুসলিম হয়ে,মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও যারা আল্লাহর দরবারে সিজদাহ দিতে পারে না,দুনিয়াতে তাদের চাইতে অসুখী কেউ হতে পারে না। 

দুনিয়াতে তারাই সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেশনে ভোগে,দিনের পর দিন আল্লাহর সাথে যাদের কোন সম্পর্ক থাকে না। আচ্ছা, আসলে এরা বেঁচে থাকার মোটিভেশন কোথা থেকে পায়?


আমরা যারা আল্লাহর দরবারে সিজদাহ দিতে পারি, দিনশেষে সিজদার মাধ্যমে আমাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। 


আমরা জানি আরশে আযীমে যিনি আছেন, তিনি আমাদের রব। তিনি আমার ভালো মন্দ সব বিষয়েরই অভিভাবক।


কিন্তু আল্লাহকে ভুলে থাকা মানুষ গুলো হয়তো মিউজিক,মুভি,সিনেমার আড্ডায় নিজেদের হতাশা-দুঃখ ভুলে থাকতে চায়। 


হয়তো বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড কালচারে ক্ষনিকের মজা ও পায়; বাট আল্টিমেইটলি এতে ডিপ্রেশনে বাড়ে বৈ কমে না।


তাই যে সমস্ত ভাই-বোন আল্লাহকে ভুলে আছেন, অনেক দিন আল্লাহর সাথে যাদের সম্পর্ক নেই----- তাদের আমরা বিনীতভাবে ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশের আহ্বান জানাচ্ছি। 


আমরা আপনাদের আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ডাকছি।আমরা বলছি না,ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ করলে আপনার লাইফে কোন ডিপ্রেশন থাকবে না। আপনি সব কিছু না চাইতে পেয়ে যাবেন কিংবা আপনার সব অপূর্ণ চাহিদা এক নিমিষেই পূর্ন হয়ে যাবে।

কিন্তু আমরা আপনাকে এটা এনসিউর করছি,ইসলাম আপনাকে সুন্দর একটা লাইফ উপহার দিবে। আপনি হাজার দুঃখ-কষ্টে সবর করতে শিখবেন। আপনি স্রেফ একটা সিজদাহর মাধ্যমে বেঁচে থাকার মোটিভেশন পাবেন। 


আল্লাহর স্মরণে,তাঁর আনুগত্যে আপনার অন্তর প্রশান্ত হবে। আপনি আল্লাহর রঙ্গে নিজেকে রাঙাতে মরিয়া হবেন।আপনি জানবেন মুসলিম হিসেবে বেঁচে থেকে আর ঈমান নিয়ে মৃতুবরণ করতে পারলে-- দুনিয়াতে আপনার প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট আর সবরের বিনিময় আল্লাহ্ আপনাকে একদিন গুনে গুনে বহুগুনে বাড়িয়ে দিবেন। 


আর সেদিন আপনি আপনার প্রতিপালকের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।আর আপনার প্রতিপালক ও আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।

তো বলুন বেঁচে থাকার জন্য এর চাইতে বড় মোটিভেশনের দরকার আছে?

Reactions

Post a Comment

0 Comments

Close Menu